মৃত্যু নিয়ে কতটুকু জানেন?

 অল এবাউট ডেথ



বায়োলজি। স্টাডি অফ লাইফ। তাহলে মৃত্যু নিয়ে গবেষণা কী? Thanatology? Thanatos গ্রীক শব্দ যার অর্থ মৃত্যু।

এই আর্টিকেলটা আমার অন্য আর্টিকেল থেকে আলাদা। এখানে কোনো গল্প নেই, স্রেফ মৃত্যু আর মৃত্যু নিয়ে বৈজ্ঞানিক আলাপচারিতা। কী কী বিষয়ে আলোচনা করবো সেটাও শুরুতেই জানিয়ে দিচ্ছি।


আউটলাইন-


১. মৃত্যুর সংজ্ঞা

২. মৃত্যুর ধরণ

৩. মৃত্যুমুখের অভিজ্ঞতা

৪. মৃত্যুর পরে

৫. উন্নত দাফন ব্যবস্থা (নামটা জুতসই হল না)

৬. মৃত্যু থেকে ফেরা

৭. উপসংহার


বোঝা গেল তাহলে? শুরু করা যাক।








মৃত্যুর সংজ্ঞা


কারা মারা যায়? মানুষ, বিড়াল, তেলাপোকা? ব্রুস ওয়েইনের বাবা-মা? কী হয় মারা গেলে? হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যায়? মস্তিষ্ক বন্ধ হয়ে যায়? এগুলো বন্ধ হয় কেন? এগুলো যে কোষ দিয়ে তৈরী সেগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আচ্ছা, ব্যাক্টেরিয়ার আবার হৃৎপিন্ড কী?

বিজ্ঞানের কাছে মৃত্যুর খুবই সহজ একটা সংজ্ঞা আছে। Irreversible cessation of all life processes. সুন্দর সংজ্ঞা। এরচেয়ে সুন্দর করে বলা সম্ভব না। বাংলায় বললে, জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর এমনভাবে সমাপ্তি ঘটা যে সেগুলো আর পুনরায় আরম্ভ করা সম্ভব না।

আর তাই সেটা এককোষী হোক কীংবা বহুকোষী প্রাণী, তার কোষ যদি গ্লুকোজ আর না নেয়, খাবার থেকে এনার্জি না ব্যবহার করে, বা আবর্জনা কোষ থেকে বের না করে, বড় না হয়, নতুন ডিএনএ না তৈরী করে বা নতুন কোষ আর তৈরী না করে, এবং এগুলো বন্ধ হবার পর সেগুলোকে আবার চালু না করা যায় তাহলে ওই কোষটাকে আমরা মৃত বলতে পারি। এরকম অনেক কোষ মারা গেলে একটা নির্দিষ্ট অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেটা যদি খোদ মস্তিষ্কই হয় তাহলে সেটাকে বলা হয় Brain Death.

Brain Death কে নিয়ে কিছু কনফিউশন আছে বৈকি। যদিও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের মৃত্যু মানেই পুরো প্রাণী বা মানুষটার মৃত্যু ধরা হয়, কিছু কিছু জায়গায় এটাই শেষ নয়।

যেমন মস্তিষ্কের শুধু সেরেব্রাম কাজ করা বন্ধ করে দিলেও শ্বাস প্রশ্বাস ঠিকই চলতে থাকে। আবার মেডুলা অংশ, সেরেব্রাম অংশ কাজ করা বন্ধ করলে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে ঠিকই শ্বাসক্রিয়া চলমান রাখা যায়।








মৃত্যুমুখের অভিজ্ঞতা


মৃত্যুর সময় কেমন অনুভূত হয়? যারা মৃত্যুর খুব কাছে থেকে ফিরে এসেছেন তাদের অভিজ্ঞতা কী?

অনেক স্টাডি হয়েছে Near Death Experience বা NDE নিয়ে। লিংক ২ এ পুরো একটা আর্টিকেল আছে এটা নিয়ে যে কীভাবে আমরা জানি NDE আসল।


প্রথমেই বলা যাক সেই সব লোকদের কথা যাদের resuscitation এর মাধ্যমে আবার জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের অনেকেই নিজেদের resuscitation প্রক্রিয়াটা অনেক নির্ভুল ভাবে বর্ণনা করতে পারেন। কিন্তু যাদের NDE হয়নি তারা অনেকটা আন্দাজ নির্ভর উত্তর দেন।

NDEer দের মাঝে সবচেয়ে কমন যে অনুভূতি হয় সেটা হল আউট অফ বডি এক্সপেরিয়েন্স। তারা ওই সময়টা ব্যাখা করার সময় এমনভাবে বলেন যেন তারা অন্য এঙ্গেল থেকে নিজেদের শরীরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। আবার অনেকে বলেন তারা ওই সময় এমনসব রঙ দেখেন, বা শব্দ শোনেন যা তারা সাধারণ রঙ আর শব্দের সাথে মেলাতে পারেন না। অন্ধরাও এমনভাবে বর্ণ্না করেছেন যেন তারা সেগুলো "দেখেছেন"। অনেকে চোখের সামনে পুরো জীবনটা ভেসে উঠতে দেখেন তো অনেকে মৃত আত্নীয়দের সাক্ষাৎ পান।

বাচ্চাদের মাঝেও এটা লক্ষ করা গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে স্টাডি করার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল বাচ্চাদের মাঝে জাতি, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রভাব সেভাবে ফেলেনা। তাই তাদের বর্ণনা পক্ষপাতিত্বহীন হয়। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও NDE একই রকম পাওয়া গেছে। এমনকি, জাতি, ধর্ম আলাদা হলেও সাধারন NDEers দের অভিজ্ঞতা প্রায় একই।


এটার কারন কী? কোন কারণ লাগবে আপনার? আগে সাইকোলজিক্যাল ব্যাখা দেয়ার চেষ্টা করি।            

এক্ষেত্রে, তিনটা মডেলের ব্যাখা পাওয়া যায়।

Depersonalization Model

Expectancy Model

Dissociation Model


আমার আর্টিকেলে প্রথম দুটো মডেল আমি বাদ দিচ্ছি কারণ এগুলোর যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। শেষেরটা নিয়ে যা বলা হয়েছে সেটা হল, এটা আমাদের মানসিক ডিফেন্স মেকানিজম। একটা মানসিক ধকল বা স্ট্রেস থেকে আমাদের মন বা মানসিক অংশকে বাচিয়ে রাখতেই আমাদের মস্তিষ্ক এসব কল্পনা করে নেয়। একধরণের coping mechanism বলতে পারেন।


এখন বলা যাক ফিজিওলজিকাল ব্যাখ্যা নিয়ে। অনেক হাইপোথিসিস আছে, সেগুলো বলার প্রয়োজন মনে করছি না। তবে যে কারনেই হোক, আমাদের মস্তিষ্কের   bilateral occipital cortex এ কোনো ক্ষতি, বা ড্রাগের প্রভাব বা অক্সিজেনের স্বল্পতা বা অন্য কোনো কারণে এগুলো অনেকটা হ্যালুসিনেট করায়। ডান পাশের ক্ষতি বেশি থাকলে টাইপ ওয়ান NDE হয় যেটায় মানুষটা আউট অফ বডি এক্সপেরিয়েন্স, উড়তে পারা বা তীব্র আলো ইত্যাদি দেখতে পায়।

বাম পাশের অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে টাইপ টু NDE হয় যেখানে মানুষটা বিভিন্ন আওয়ায়, সঙ্গীত, কন্ঠস্বর, মৃত আত্নীয় ইত্যাদি দেখতে পারেন।


ব্যাপারটা বিজ্ঞান কম আজগুবি বেশি লাগছে? বিজ্ঞানের কাজই তো আজগুবিকে ব্যাখা করা তাই এই টপিক বাদ দিতে পারিনি। তবে এটা এখানেই শেষ। এখন ফেরা যাক আবার পরিচিত বিজ্ঞানের কাছে।







মৃত্যুর পরে


কী হয় এই শরীরটার? পচে যায়? তারপর শেষ? লাশ দেখেই কীভাবে বুঝবেন এটা কতদিনের পুরোনো?

আপাতদৃষ্টিতে লাশটা মৃত মনে হলেও এই লাশ একটা উর্বর ইকোসিস্টেম। কোটি কোটি জীবনের বাস এই লাশের ওপর।


সাধারণত, প্রতি ঘন্টায় লাশের তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রী করে কমতে থাকে। যদিও পরিবেশের তাপমাত্রার ওপর এটা নির্ভর করে।

রক্ত যেহেতু আর পাম্প হচ্ছে না তাই রক্ত লাশের একদম সর্বনিম্ন স্থানে জমা হয়ে থাকে এবং লাশের উপরিভাগ ফ্যাকাশে আর মাটির কাছের অনশ যেখানে রক্ত জমা সেটা কালচে হয়ে থাকে। এটাকে বলে Livor Mortis. সময়কাল ছয়ঘন্টা।

তাপমাত্রা কমতে কমতে লাশ যখন ঠান্ডা হয়ে যায় তখন সেটাকে Algor Mortis বলে। সময়কাল কয়েকঘন্টা।

লাশের যেই পেশীগুলো থাকে সেগুলো কিছুটা সংকুচিত বা contract থাকে এবং রিল্যাক্স করতে পারে না। যার ফলে শরীর শক্ত হয়ে থাকে। এটাকে Rigor Mortis বলে। সময়কাল ২৪ ঘন্টা। এরপর আরো বারো ঘন্টা সময় লাগিয়ে এটা চলেও যেতে থাকে। চলে যায় কারণ পেশীগুলোতে থাকা মায়োসিনকে কোষে থাকা এনজাইম ভেঙে ফেলে তাই সোজা বাংলায় পেশী ছিড়ে যায়।

পেশী কীভাবে কাজ করে এটা আমাকে অনেক অভিভূত করেছিল প্রথম যখন ক্লাসে পড়ি। এটা নিয়েও একদিন লিখব ইনশাআল্লাহ্‌।  আমরা পুরোদস্তুর ন্যানোটেক!


ম্যাগোটস চেনেন? ডিম ফুটে বের হওয়া কিউট কিউট পোকার বাচ্চা। লাশে পোকারা ডিম পাড়ে, ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়। ডিম পাড়া থেকে হাত পাহীন বাচ্চা জন্ম নিতে সময় লাগে মাত্র একদিন।


এনারা লাশের ওপরে থাকা তরল দিয়ে খানাপিনা শুরু করেন, এরপর ভেতরে ঢুকেন। মৃত কোষ খেতে খুব পছন্দ। এরজন্য এদের দিয়ে বিভিন্ন ঘা চিকিৎসা করা হয় কারণ এরা জীবিত কোষ খায় না। এরপর এনারা moulting করেন। মানে উপরের খোসা বা চামড়া বা খোল যাই বলেন পরিবর্তন করেন। ডিম ফোটা থেকে শুরু করে প্রথম খোল বদলাতে সময় লাগে মাত্র একদিন।


এরপর আরেকটু ঘোরাঘুরি করেন তারপর দ্বিতীয়বার খোলস বদলান। সময় আরো একদিন।


একই ব্যাপার। আর সাইজ দ্রুত বেড়ে যায়। এভাবে দুদিন যায়।


লাশ থেকে বেড়িয়ে আসেন ভাল জায়গা খুজতে যাতে pupa স্টেজে যেতে পারেন। পিউপা স্টেজ মানে এখানে উনি একটা খোল; তৈরী করে নেবেন চারপাশে আর ভেতরে থাকবেন। খাবার খাবেন না। ছোত থেকে বড় হবেন। অনেকটা শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হবার মত ব্যাপার। পিউপা তৈরী করতে সময় চারদিন।


এরপর দশদিন পিউপার মাঝে বসবাস করেন। খাবার খান না। একপর্যায়ে বড় হয়ে বেড়িয়ে আসেন।


বেড়িয়ে এসে লাশের তরল থেকে প্রোটিন খান। প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ কারবার করেন। এরপর ডিম পাড়েন ওই লাশের ভেতর। বড় হয়ে ডিম পাড়তে সময় নেন দুইদিন।


তো এই হল অবস্থা। এই বিভিন্ন সময়ে তাদের দেখতে আলাদা লাগে যার ফলে লাশে তাদের উপস্থিতি দেখলেই বোঝা যায় যে লাশটা কয়দিনের পুরোনো।








উন্নত দাফন


"Do not stand at my grave and weep

I am not there; I do not sleep.


I am a thousand winds that blow,

I am the diamond glints on snow,

I am the sun on ripened grain,

I am the gentle autumn rain.

When you awaken in the morning's hush

I am the swift uplifting rush

Of quiet birds in circled flight.

I am the soft stars that shine at night.


Do not stand at my grave and cry,

I am not there; I did not die."

                                          -Mary Elizabeth Frye


তো, তখন থেকে লাশ লাশ করেই যাচ্ছি। এখন আপনার কাছে একটা লাশ আছে। আপনি কি করবেন? পুড়িয়ে ফেলবেন? কবর দেবেন? সাধারণত লাশ সবচেয়ে বেশি কবরই দেয়া হয়। তবে এটাকে আরেকটু উন্নত করা যায় না?

কফিনে লাশ রেখে মাটিতে দিলাম, জায়গার অপচয়। একটা ভাল কিছু করা যায়?


একটা পডের কথা ভাবা যাক। ডিমের মত আকৃতি। ভেতরে লাশ থাকবে, আর সাথে একটা সীড বা বিচি। পডটা মাটিতে পোতা হবে। বিচি থেকে গাছ হবে, গাছ বড় হবে সরাসরি লাশ থেকে মিনারেল নিয়ে। জীবন আবার শুরু হবে। প্রকৃতিতে গাছ বাড়বে। সুন্দর না ব্যাপারটা? মৃত্যুর মাধ্যমেও প্রকৃতিতে ফিরে আসা। "আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে..."








মৃত্যু থেকে ফেরা


"A thousand words won't bring you back;

I know because I've tried.

Neither will a thousand tears;

I know because I've cried."


অনেক তো হল। মৃত্যু থেকে যারা ফিরেছে তাদের গল্প শুনবেন না?


একানব্বই বছর বয়সে জান্যাইনা কলকিউইক্স হৃদযন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে মারা গেলে তাকে মর্গে রাখা হয়। এগারোঘন্টা পর বেচারি উঠে দেখে সে মর্গে। চা আর প্যানকেক খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা তার মনে জেগে ওঠে।


অবাক লাগছে? এটাই একমাত্র কেস নয়। এরকম বহু কেস আছে যেখানে হার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও অনেক পরে সেটা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটার একটা নামও আছে। Lazarus phenomenon। ব্যাপারটা অবৈজ্ঞানিক কিছু না। CPR দেয়ার পর সাথে সাথে হার্টের কার্যক্রম ফিরে নাও আসতে পারে। এটাকে Delayed Return Of Spontaneous Circulation বা ROSC বলা হয়। অনেক পরে একটিভিটি আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে এটা অনেক অনেক বিরল।


Lazarus নামটা কোথা থেকে এসেছে? বাইবেল অনুযায়ী যীশু লাজারাস নামের এক লোককে তার মৃত্যুর চারদিন পর ঈশ্বরের ইচ্ছায় আবার জীবিত করেন। সেখান থেকেই এই নামটা নেয়া। 


আচ্ছা এটা হয় কেন? একটা থিউরি অনুযায়ী CPR দেয়ার সময় যেই প্রেশারটা দেয়া হয় সেটা সাথে সাথে পুরপুরি চলে যায় না। অনেক্ষণ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে প্রেশারটা চলে গেলে হার্ট আবার আগের মত কাজ শুরু করতে পারে।

আরেকটা থিউরি হল, রোগীকে বাচিয়ে তোলার জন্য যেই মেডিসসিন দেয়া হয় সেগুলো হয়তো দেরীতে কাজ শুরু করে, এরজন্য।

রক্তে পটাশিয়াম বেশি থাকলে দেরীতে ROSC শুরু হয় এবং এ দুটোর যোগসূত্র পাওয়া গেছে।


তবে কথা হচ্ছে এনারা কেউই আসলে মৃত ছিলেন না কখনোই। কেন? মৃত্যুর সংজ্ঞা আবার পড়ুন। "Irreversible cessation"। মানে যেটা বন্ধ হবে সেটা পুনরায় চালু করা কখনোই যাবে না। এখন যদি দশ ঘন্টা পরে হোক আরে ক্রায়োজেনিক চেম্বারে দশ বছর পর হোক, আবার চালু যদি করা যায় তার অর্থ সে কখনো মৃত ছিলই না। বুঝাতে পেরেছি?








উপসংহার


কী বলবো আর? খেয়াল করলে দেখবেন আমি অমরত্ব নিয়ে কিছু লিখিনি যদিও এ বিষয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক আর্টিকেল পাওয়া যায়। তার কারণ আমি ব্যাক্তিগতভাবে অমরত্বে বিশ্বাসী না। এট বেস্ট আমি অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক দীর্ঘ জীবনে বিশ্বাস করি যেটা বিজ্ঞান ঠিকই আয়ত্ত করে ফেলতে পারে। সেটা এখন টেলোমিয়ার নিয়ে কাহিনি করে হোক আর মাইন্ড ট্রান্সফার অথবা ডিজিটালি ভার্চুয়াল জগৎ এ আপলোড হয়ে হোক সেসব তো জীবন নিয়ে কথা। মৃত্যু নিয়ে না। তাই না?

কবিতা শুনে যান একটা।


"মৃত্যুর কাছে প্রতিটি মানুষ বড়ই অসহায় ,

মৃত্যু যখন কাছে এসে বলে ...

পৃথিবীর সব মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে ,

আমার কাছে আয় চলে আয় ।

তবুও মানুষ ক্ষণিক জীবনের তরে

নতুন স্বপ্নগুলো করছে বপন ,

পরাজিত হয়েও জীবন যুদ্ধে

গড়ছে আপন ভুবন ।

নতুন বছর ফিরে ফিরে আসে ,

আবার চলেও যায় ,

সময়ের কাছে তবুও মানুষ

হয়ে পড়ে কেন এতো অসহায় ?"

                                  -রুবিনা মজুমদার


একদম শেষ লিংকে ক্লিক করলে মৃত্যু নিয়ে কিছু তথ্য আর সংখ্যা পাবেন।




মনিফ শাহ চৌধুরী


রেফারেন্স লিংকঃ


1. মৃত্যু নিয়ে এ কী বলল উইকিপিডিয়া! দেখুন ভিডিও ছাড়া!- https://en.wikipedia.org/wiki/Death

2. Near Death experience proof. বিশাল আর্টিকেল।  https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6172100/

3. সাইকোলজিক্যাল আর ফিজিওলজিক্যাল দুটো ব্যাখাই পাবেন Near death experience এর- https://en.wikipedia.org/wiki/Near-death_experience#Explanatory_models

4. লাশের পচন- https://www.aftermath.com/content/human-decomposition/

5. আরেকটু পচন- https://www.theguardian.com/science/neurophilosophy/2015/may/05/life-after-death 

6. মৃত্যুর সময় নির্ধারণ। এটা সায়েন্স আর্টিকেলের লিংক। বেশ ভাল- https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK549867   

7. মৃতদেহ নিয়ে কী করবেন? এই চ্যানেলটা ভালোই, ভিডিও লিংক এটা- https://www.youtube.com/watch?v=rXQWU17FAvE

8. হদ্গদ

9. মৃত্যু থেকে ফিরে আসা- https://www.medicalnewstoday.com/articles/317645

10. মৃত্যু নিয়ে একলাইনের চমৎকার কিছু তথ্য- https://www.msn.com/en-in/health/medical/the-most-interesting-facts-about-death/ss-AAuqBQv#image=4




Comments