বুলবুল আর সেরিনার বাচ্চা কী উড়ন্ত মাছ হবে?
(১)
বুলবুল আর সেরিনা দাঁড়িয়ে আছে জেনিফার ফার্টিলিটি এন্ড এথিক্যাল এডিটং সেন্টারের সামনে। চোখ ভরা আশা আর ব্যাংক ভরা টাকা নিয়ে তারা প্রবেশ করল চাকচিক্যময় দালানের ভেতরে।
বুলবুল আর সেরিনা দুজনেই Cystic Fibrosis এর ক্যারিয়ার। অর্থাৎ, তাদের Cystic Fibrosis Transmembrane conductance Channel বা CFTR protein তৈরী করার যেই জিন, সেখানে একটা allele recessive. মানে যদি স্বাভাবিক allele কে F ধরি আর অস্বাভাবিক allele কে f , তাহলে তাদের জিনে allele এর জোড়া হবে Ff. আর যেহেতু একটা gamete বা sex cell এ একটাই allele থাকবে, তাই তাদের প্রতিটা gamete হয় F বহন করবে নয়তো f. উল্লেখ্য, এই Cystic Fibrosis রোগটা বা CF হল একটা homozygous recessive জোড়াবন্ধনের ফল। মানে একটা জিনে যতক্ষণ না দুইটা allele ই f থাকবে, ওই মানুষটার রোগ হবে না।
তাহলে, সেরিনা আর বুলবুলের বাচ্চার এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কত? এটার জন্য জেনেটিক ডায়াগ্রাম আঁকতে হবে। আপাতত এখানে সহজে বলা যাক।
সেরিনার gamete = F অথবা f
বুলবুলের gamete= F অথবা f
তাহলে, (F, f) * (F, f) = FF, Ff, Ff, ff
তার মানে দাড়াচ্ছে চারভাগের একভাগ চান্স হচ্ছে বাচ্চাটা সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে। কোনো রোগী allele থাকবে না। দুইভাগের মাঝে রোগী allele থাকবে তবে তাদের কোনো ক্ষতি বা প্রভাব করবে না। কারণ আগেই বলেছি, এই রোগ হতে হলে দুটো allele ই recessive বা f হতে হবে। এদের ক্যারিয়ার বলা হয়। মানে তারা বাহক। পরিশেষে, একভাগ বা ২৫% চান্স হচ্ছে সে রোগাক্রান্ত হবে। ff.
সেরিনা আর বুলবুল কী এই রিস্ক নেবে তাদের সন্তানের সাথে? কখনোই না। এই রোগের ফলে CFTR প্রোটিন ঠিকমত কাজ করে না। ফল্টি প্রোটিন। আর এই প্রোটিনের কাজ হল কোষের ভেতরে আর বাইরে ক্লোরাইড আয়নের (Cl-) যাওয়া আসা নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে গেলে mucus শক্ত হয়ে যায়। সহজে সরানো যায় না। Mucus মানে কফ। তো এটা সহজে না সরাতে পারলে শ্বাসনালী চিকন হয়ে বাতাস ফুসফুস পর্যন্ত পৌছাতে বাধা দেবে। মানুষটা শ্বাসকষ্টে ভুগবে আজীবন।
Mucus কী শুধু এই শ্বাসনালীতেই থাকে? পাচ সেকেন্ড সময় দিলাম, ভাবুন আর কোথায় থাকে?
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পাচ সেকেন্ড শেষ। আমাদের চেহারার পেছনে খুলির ফাকা জায়গায় mucus থাকে। এখানে শক্ত হয়ে গেলে মাথাব্যাথা, সাইনোসাইটিস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেবে। আমাদের Pancreas যে এনজাইম তৈরী করে সেগুলো একটা টিউব বা নালী দিয়ে বের হয়ে intestines এ যায়। কিন্তু এই টিউবে থাকা Mucus ব্লক হয়ে গেলে এনজাইম যেতে পারেনা, তাই খাবার ঠিকমত হজম হয় না। মানুষটাকে বেচে থাকতে হলে প্রচুর খাবার খেতে হয়।
আবার স্পার্ম ডাক্ট আর Cervix এও mucus থাকে। এগুলো ব্লক হয়ে যাওয়া মানে infertile বা বন্ধ্যা হয়ে যাওয়া। এছাড়াও কানে শোনার ক্ষেত্রে সমস্যা, ঘাম তৈরী করা গ্ল্যান্ড গুলো দিয়ে আয়ন বের হওয়া, পলিপাস ইত্যাদি বহুত, সহজার্থে বহুত সমস্যা নিয়ে বেচে থাকতে হয় দুর্ভাগা CF পজিটিভদের। শুধু এই CF নিয়েই ছোটখাট বই লেখা যাবে, তবে আজকের আর্টিকেলের বিষয় এটা নয়। এ বিষয়ে পড়তে চাইলে লিংক ১ আর ২ দেখুন।
তো সেরিনা-বুলবুল দম্পতিতে ফেরা যাক।
তারা সচেতন শিক্ষিত যুগল। এর জন্যেই বিয়ের আগে কাউন্সিলিং করে জেনে নিয়েছে একে অপরের কোনো সমস্যা আছে কী না। জীবনের কয়েকটা বছর একসাথে অতিবাহিত করার পর একটা সন্তানের আকাঙ্খা তাদের মনে উঁকি দিয়ে ওঠে। তবে সন্তানের জীবনের সাথে ২৫% এর জুয়া তারা খেলতে রাজি নয়।
জেনিফার সেন্টারে এর সমাধান আছে। তারা জিন এডিটিং করে। ভ্রণের মাঝে কোনো অসংগতি বা অস্বাভাবিকতা থাকলে তারা সেটা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরিয়ে স্বাভাবিক allele বসিয়ে দেন। এইক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি আসলে বছর দশেক আগে আবিষ্কার হওয়া CRISPR এর এক টেক।
CRISPR কি? এটা একটা ডিএনএ সিকুয়েন্স যেটা ব্যাক্টেরিয়াদের থেকে পাওয়া যায়। এটা ব্যবহার করে ডিএনএর নির্দিষ্ট জায়গায় কাটা যায়। ব্যাক্টেরিয়া এগুলো কোথা থেকে পেল? ব্যাক্টেরিওফেজ ব্যাক্টেরিয়াদের আক্রমণ করে নিজেদের যেই ডিএনএ ফেলে রেখে যায় সেগুলো থেকেই এটা পাওয়া গেছে। এটার সাথে নিউক্লিয়াসের একটা এনজাইম, Cas9, ব্যবহার করে ডিএনএ কে নির্দিষ্ট জায়গায় কাটার সূচনা করেন জেনিফার ডুডনা (Jennifer Doudna). তার এই প্রযুক্তির নাম ছিল CRISPR-Cas9 .
পরে এটাকে উন্নত করা হয় Cas9 এর বদলে Cpf1 এনজাইম ব্যবহার করে। উন্নত করার দরকার কী ছিল? Cas9 ডিএনএর দুটো সাইড বা strand একই জায়গায় কাটত। যার ফলে জায়গাটা ভোতা হয়ে থাকত। নতুন জিন যোগ করা কঠিন হয়ে পড়ত। কিন্তু Cpf1 একটা সাইডের strand কে যেখানে কাটে অপর সাইডে একটু আগে বা পরে কাটে। তাই একটা strand ছোট আরেকটা বড় হয় এবং নতুন জিন সহজে জোড়া লাগানো যায়।
সেরিনা আর বুলবুল তাদের শুক্রাণু আর ডিম্বানুর স্যাম্পল দিল। বুলবুলের জন্য ব্যাপারটা সহজ হলেও সেরিনাকে কয়েকঘন্টা অপারেশন থিয়েটারে অজ্ঞান থেকে ১৫টা ডিম্বানু দিতে হল। এর কম ডিম্বানু মানে শিশু জন্মের চান্স প্রচুর কম, আর বেশি নিলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই ১৫ই হল আদর্শ সংখ্যা, সন্তান জন্মানোর চান্স ৪০%।
জেনিফার ফার্টিলিটি সেন্টারের কাজ কী? টেস্ট টিউবে তাদের gamete নিয়ে হালকা ইলেক্ট্রিসিটি দিয়ে শুক্রাণু আর ডিম্বানুকে নিষিক্ত করা। এইক্ষেত্রে শুধু সেই gamete নেয়া হবে যেগুলোতে কোনো recessive allele নাই। ব্যাপারটা সহজ তবে বাচ্চা জন্মানোর চান্স আরো কমে যায়। আশা করা যায় সেরিনা আর বুলবুলের ভাগ্য ভাল।
এখানে কোনো এডিটিং এর ব্যাপার নেই। তাই ফার্টিলিটি সেন্টারের ডক্টর আমাদের দম্পতিকে প্রস্তাব দিল তারা কোনো এডিটিং করাতে চায় কীনা। যেমন, তাদের ভ্রুণের CCR5 জিনে কিছু পরিবর্তন এনে দিলে তাদের সন্তানের কোনোদিন এইডস হবে না।
সেরিনা আর বুলবুল একটু ভাবার জন্য সময় নিল। আমার তাদের সময় দেই।
ততক্ষণ কথা বলা যাক এমন জিন এডিট করে সন্তান জন্ম দেয়া আসলেই হয়েছে কিনা পৃথিবীতে। অর্থাৎ, জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার করা কোনো মানুষ কী আসলেই আছে?
আপনারা সম্ভবত ক্রিসপার বেবিদের নাম শোনেননি। লুলু আর নানা তাদের নাম। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জন্ম নেয় এই আশ্চর্য সন্তান দুটি। এর নেপথ্যে আছে হি জিয়ানকুই নামের এক চাইনিজ বিজ্ঞানী।
ঘটনাটা ঘটে এভাবে, ২০১৭ সালে এক দম্পতি যাদের একজন HIV positive, তাদের এই বিজ্ঞানী অফার করেন একটা এক্সপেরিমেন্টে অংশ নিতে যা সফল হলে তাদের সন্তানের HIV হবে না। তারা স্বতঃফূর্তভাবেই রাজি হয়ে যান। অবশ্যই পুরো এক্সপেরিমেন্টটা ছিল গোপন। এবং অবশেষে যেদিন ২০১৮তে বাচ্চা দুটো জন্ম নেয় তার পর হি নিজেই এই এক্সপেরিমেন্টের কথা বিশ্বে জানিয়ে দেন। তিনি সফলভাবে সেই প্রোটিন চ্যানেলের জিনের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যেই চ্যানেল ব্যবহার করেই HIV কোষে প্রবেশ করে। বাচ্চা দুটো সম্পূর্ণ সুস্থ বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে লিংক ৪ এ পড়তে পারবেন।
(২)
সেরিনা আর বুলবুল ভাবল আপাতত টাকা অপচয় করে লাভ নেই। শুধু সুস্থ সন্তান জন্ম নেক আগে।
জেনিফার সেন্টারে এথিক্যাল এডিটিং করানো হয়। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে আনএথিক্যাল এডিটিং কোনগুলো?
জিন এডিটিং ব্যাপারটা নিয়ে সবসময়ই মানুষের দ্বিমত ছিল। যারা এর পক্ষে কথা বলেন তাদের মত হল যেহেতু এটা ব্যবহার করে আমরা অনেক দুর্ভাগা বাচ্চাদের মরণব্যাধি থেকে মুক্তি দিতে পারি তাই এই প্রযুক্তি ব্যবহার না করা বরং খারাপ কাজ হবে। Down's Syndrome, HIV, Rett's disease, CF ইত্যাদি নানান অসুখ থেকে মুক্তি মিলতে পারে সহজেই।
অপরদিকে যারা এর বিরুদ্ধে বলেন তাদের মতে, যেহেতু সাফল্যের রেট খুবই কম তার মানে অনেক ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায় একটা ভ্রুণ সফলভাবে এডিট করতে। তারা এটা অমানবিক মনে করেন।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল, ভবিষ্যতে বাবা মা তাদের সন্তানদের নিজেদের ইচ্ছেমত এডিট করতে চাইতে পারেন। কসমেটিক এডিটিং বা তাদের চেহারা/সৌন্দর্য্য বিষয়ক ব্যাপারগুলো নিজেদের মত নির্ধারণ করতে পারেন। চোখের রঙ, চুলের রঙ থেকে শুরু করে হাড়ের ঘনত্ব, চোখে রড-কোণের ডেনসিটি এমনকি করপাস কলোসামের সাইজ সবকিছুই পরিবর্তন করতে পারবে। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে তখন বৈষম্য সৃষ্টি হবে। একদল যারা এডিট করা, উন্নত। আরেকদল যাদের পর্যাপ্ত সুবিধা নেই এডিটিং এর জন্য।
(৩)
পাচ বছর পর।
সেরিনা আর বুলবুল দাঁড়িয়ে আছে অখ্যাত এডিটিং সেন্টারের সামনে। চারিদিকে সবাই তাদের সন্তানদের এত প্রশংসা করে শুনতে শুনতে কান পচে গেছে সেরিনার। এখন তার বাচ্চাকে নিয়েও মানুষ কথা বলবে। ভিটেবাড়ি বিক্রি করে টাকা নিয়ে এসেছে ও। তাদের বাচ্চাকে সর্বোচ্চ নিখুতভাবে তৈরী করে নেবে।
সামনের ভবনের চেয়েও তাদের চোখ চকচক করছে।
(৪)
টাইটেলটা মিসলিডিং না। জাফর ইকবাল স্যারের দুটো বই আমার খুব পছন্দ। একটা ইকারাস আরেকটা সেরিনা। দুটো পড়েননি? পড়ে ফেলুন।
ইকারাসকে তো চেনেনই। মোমের পাখা পিঠে লাগিয়ে পিতার আদেশ অমান্য করে সূর্যের পানে উড়াল দিয়েছিল। মোম গলে গেলে নিচে সমুদ্রে পড়ে যায়।
ইকারাস বইয়ের মূল চরিত্র বুলবুল। সে একটা এক্সপেরিমেন্টের ফসল। তার জিনে হাজারটা পরিবর্তন করে তার পিঠে পাখা তৈরী করা হয়েছে। শরীরের হাড়গুলো আশ্চর্যরকম হালকা যাতে সে উড়তে পারে। গল্প তার বেড়ে ওঠা নিয়ে এবং একপর্যায়ে লোকচক্ষু থেকে বেচে থাকতে এক ঘন জঙ্গলওয়ালা দ্বীপে নির্বাসন নেয়।
সেরিনার গল্পও অনেকটা একই রকম। তার শরীরে এডিট করে তাকে চামড়া দিয়ে পানির নিচে নিশ্বাস নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। শেষতক সেও সমুদ্রে থাকে।
বুলবুল আর সেরিনার ব্যাক্তিত্ব আলাদা। এই দুই বই যারা পড়েছে তারা হয়তো কোনোদিন ফ্যান্টাসি করেছে যে বুলবুল আর সেরিনার দেখা হয়েছে। তারা একে অপরের সঙ্গী হয়েছে। আমিও করেছি।
আমার ফ্যান্টাসি একদিন সেরিনা বঙ্গোপসাগরের নিচ থেকে ধীরে ধীরে উঠে আসছে। তার শরীরে লাল-নীল শিরা-ধমনী স্পষ্ট ফুটে উঠেছে যেন শরীরে কেউ নিপুন দক্ষতার সাথে উল্কি একে রেখেছে। সে ধীরে ধীরে এক পা দু পা করে উঠে আসে দ্বীপের মাটিতে। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে নেয় সে। কত বছর কেটে গেছে বুকে শ্বাস নিতে? দু বছর? টলমল করতে থাকা পায়ের দিকে কেউ তাকালে মনে করত সে গন্ধরাজের বনের মাঝে মাতাল হয়ে দাড়িয়ে আছে।
হঠাৎ উপরে গাছের মাঝে খসখস শব্দ শোনা গেল। তারপর আরেকটা, তারপর আরেকটা। পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। তারা কী এমনই নাকি আজ একটু বেশিই তৎপর তারা?
পেছনে ফিরে আবার সমুদ্র পানে চাইল সেরিনা। তার ঘোলাটে মায়াবী চোখ বাতাসে মানিয়ে নিতে সময় নিচ্ছে। এরপর আবার জঙ্গলের দিকে এগোতেই দেখে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক ফেরেশতা। সুঠাম দেহ, পরণে অল্প কাপড় শুধু কোমড়ের নিচে ঢাকার জন্য। আর তার বিশাল পাখা দুদিকে ছড়িয়ে আছে। দুজন অনেক্ষণ একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে।
-"তুমি কী কোনো ফেরেশতা? আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি কেন? আমার জান নিয়ে যেতে এসেছ?" সেরিনাই নিরবতা ভাঙল।
ছেলেটা আরো কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তার স্বচ্ছ চোখের কাছে হার মানবে পাথরের ওপর টলমল করা পানিও। এরপর সুকণ্ঠে ছেলেটা বলে উঠল-
"আমার নাম বুলবুল। আপনার?'
(সমাপ্ত)
Monif Shah Chowdhury
রেফারেন্স লিংকঃ
1. CF in wikipedia- https://en.wikipedia.org/wiki/Cystic_fibrosis
2. CF এর যত সমস্যা- https://www.cysticfibrosis.org.uk/what-is-cystic-fibrosis/how-does-cystic-fibrosis-affect-the-body
3. CRISPR-Cpf1 - https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6507119/
4. সত্যি সত্যি জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার করা বাচ্চা- https://en.wikipedia.org/wiki/He_Jiankui_affair#Experiment_and_birth
5. মানুষের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সম্ভাব্য খারাপ দিক- https://ghr.nlm.nih.gov/primer/therapy/ethics
Comments
Post a Comment